বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্ত ও ভগৎ সিং এর আত্মগোপন করা পাতাল ঘর অধিগ্ৰহণ নিয়ে বৈঠক

26th August 2021 9:00 pm বর্ধমান
বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্ত ও ভগৎ সিং এর আত্মগোপন করা পাতাল ঘর অধিগ্ৰহণ নিয়ে বৈঠক


মধুসূদন চন্দ্র ( খন্ডঘোষ ) : আজ ২৬/০৮/২০২১ বৃহস্পতিবার বার বিকাল ৩টায় খণ্ডঘোষ ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের করণ,সগড়াই এর সভা কক্ষে বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্ত ও বিপ্লবী শহীদ ভগত সিং এর আত্ম গোপন করা পাতাল ঘর অধিগ্রহনের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাননীয় সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শ্রী সত্যজিৎ কুমার মহাশয় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় সভা। সভায় উপস্থিত ছিলেন খণ্ডঘোষ বিধানসভার মাননীয় বিধায়ক শ্রী নবীন চন্দ্র বাগ,খণ্ডঘোষ পণ্চায়েত সমিতির সভাপতি মাননীয় শ্রী অসীত কুমার বাগদী,সহ সভাপতি শ্রী শ্যামল দত্ত,কর্মাধ্যক্ষ শ্রী মইনুদ্দিন সেখ, জেলা পরিষদ সদস্য মাননীয় শ্রী বিশ্ব নাথ রায়,শঁকারী ২ নং পণ্চায়েতের উপ প্রধান বেদানা সাহেব।খণ্ডঘোষ পণ্চায়েতে প্রধান মাননীয় শ্রী হারু সাঁতরা,ও পণ্চায়েত সেক্রেটারী, পণ্চায়েত সদস্য শ্রী সেখ হাসানুজ্জামান,
বি ডি এম ও মাননীয় শ্রী রবীন্দ্রনাথ দত্ত,শ্রী নীলাঞ্জন বাবু, এস এ ই শ্রী পার্থ বাবু।ওয়ারিশন এনকোয়ারী কমিটির সদস্য গন।বি,এল,এল এণ্ড এল আর ও প্রতিনিধি,ডি পি এল ও এর প্রতিনিধি, এ ডি এস আর প্রতিনিধি, বটুকেশ্বর দত্ত স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি এণ্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর সদস্যবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবীর আত্মগোপন করা ঘোষ বাড়ির ১৭ জন উত্তরাধিকারী মধ্য বেশীর ভাগ  অংশীদার। আজ সভায় অধিগ্রহণের কাজের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়।ঘোষ বাড়ির উত্তোরাধিকারী গন  আনন্দের সহিত অধিগ্রহনের কাজে সম্মতি জানান। দীর্ঘ বছরে জটিল সমস্যার সমাধান হলো।বাকি কাজ খুব দ্রুততার সঙ্গে সম্পূর্ণ করে অধিগ্রহণ সম্পূর্ণ করে রিনোভেশনের কাজে হাত দেওয়া হবে।  উল্লেখ্য মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তার প্রথম ঘোষনা " বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তর জন্ম ভিটা কে ঘিরে পর্ষটন কেন্দ্র নির্মান" ২০১৩ সালে ২৫ ফেব্রুয়ারী অনুমোদীত হয়।  যা ২৭ শে ফেব্রুয়ারী প্রেস মিট করে পর্যটন অনুমোদনের কথা জানান ততকালিন জেলা শাসক মাননীয় ওঙ্কার সিং মীনা মহাশয়।৮৪লক্ষ ৯৯ হাজার ৮০১ টাকা অনুমোদিত হয়। তার মধ্য অর্ধেক টাকা সঙ্গে সঙ্গেই আসে।সেই টাকা বিপ্লবীর জন্ম ভিটার সংরক্ষণের কাজ শেষ হলেও ঘোষ বাড়ির কয়েক জন অংশীদারের বাধায় বিপ্লবীর আত্মগোপন করা পাতালঘরের কাজে বাধা আসে। ফলে কাজ করা সম্ভব হয় নি।অবশেষে ৬ নভেঃ ২০১৯ বিপ্লবীর জন্ম ভিটায় বসে উত্তরাধিকারীদের কিছু জনের সম্মতিতে পাতালঘরটি  সরকারী ভাবে অধিগ্রহনের সিদ্ধান্ত নেন মাননীয় অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) মাননীয় রজত নন্দা ও জেলা পরিকল্পনা আধিকারীক মহাশয়।সেই মতো সরকারী নিয়মে সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ করে আজ সভায় উপস্থিত উত্তরাধিকারীদের অধিগ্রহনের কথা জানানো হয়। আজ ওই পরিবারের উপস্থিত সিংহভাগ উত্তরাধিকারী খুশী মনে অধিগ্রহনের সম্মতি জানিয়েছেন। ফিরে যাওয়া টাকা আবার যাতে সরকার অনুমোদন করেন তার জন্য,মাননীয় সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মহাশয়ের নেতৃত্ব,মাননীয় বিদায়ক সাহেব সহ সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় ও বটুকেশ্বর দত্ত স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি এণ্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট  পশ্চিম বঙ্গ সরকারের কাছে আবেদন জানাবেন।এবং দ্রুততার সঙ্গে বিপ্লবীর জন্ম ভিটায়  পর্যটন কেন্দ্র নির্মানের কাজ সম্পূর্ণ করে সাধারনের জন্য উন্মোচন করে দেওয়া হবে।

লেখক পরিচিতি : সম্পাদক , বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্ত স্মৃতি রক্ষা কমিটি 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।